গঙ্গার দক্ষিণ ও পশ্চিম ভাগের অঞ্চলকে প্রাচীন কালে রাড় ভুমি বলা হত । প্রাচীন রাড়ের প্রায় মাঝ খানে অবস্থিত ছিল আজকের বর্তমান বর্ধমান । বর্ধমানের নামকরণ নিয়ে দু রকম অভিমত আছে ।একটি মত হল ২৪ তম জৈন তীর্থঙ্কর বর্ধমান সভামির নাম থেকে এর উৎপত্তি । জৈন কল্প সুত্রে উল্লেখ আছে মহাবীর কিছুদিন অস্তিকা গ্রামে কাটিয়েছিলেন । সেটি বর্ধমান নামে পরিচিত ছিল ।
অন্য মতে বর্ধমান অর্থাৎ বৃদ্ধি । উত্তর গাঙ্গেয় অঞ্চল থেকে আরজ প্রভাব ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলের প্রাচুর্য বাড়তে থাকায় এর নাম বর্ধমান ।
বর্ধমানের মল্ল সারুল থেকে পাওয়া খৃস্টীয় ষষ্ঠ শতকের একটি তাম্র লিপি থেকে বর্ধমান ভুক্তি প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় । সেই সময় বঙ্গাধি পতি ছিলেন গোপ চন্দ্র । গোপ চন্দ্রের অধিনে মহাসামান্ত বিজয় সেন সেই সময় বর্ধমান ভুক্তির শাসন কর্তা ছিলেন । বৃহৎ সং হিতা , মা্কণ্ডেয় পুরানে বর্ধমান জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায় ।
পাল যুগের শেষ দিকে তৃতীয় বিগ্রহ পালের রাজত্ব কালে বর্ধমান জেলার গোপ ভুম পরগনায় ইছাই ঘোষ নামে এক সামন্ত রাজা , বঙ্গাধি পতি গৌড় রাজ কে অগ্রাহ্য করে এক শক্তিশালি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন । কাঁক সা অঞ্চলে শ্যামারুপা গড় জঙ্গলে ঢেঁকুর তার রাজধানী ছিল । ১৭১১ সালে রচিত ঘনশ্যাম চক্রবর্তী র " ধর্ম মঙ্গল " গ্রন্থে ইছাই ঘোষের কাহিনী পাওয়া যায় ।
আকবরের রাজত্বে মুঘল সাম্রাজ্য কে ১৩ টি সুবা তে ভাগ করা হয় । এর অন্যতম সুবা বাংলা ১৯ টি সরকারে বিভক্ত ছিল । " আইন ই আকবরি " তে সরকার স্রিফাবাদের একটি মহাল বা পরগণা হিসাবে বর্ধমানের উল্লেখ আছে । জাহাঙ্গীরের রাজত্বে জায়গীরদার শের আফগান বিদ্রোহ ঘোষণা করলে বাংলার শাসক কুতুবুদ্দিন তাকে দমন করতে আসেন । যুদ্ধে দুজনে মারা যায় । বর্ধমান শহরে পাশাপাশি এই দুজনের সমাধি আছে ।
১৬২৪ সালে বিদ্রোহী শাহাজাদা খুররম { সম্রাট শাহাজান }বর্ধমান দুর্গ ও শহর দখল করেন । এই সময় তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন । মসজিদের শিলা লিপি তে শাহজানের নামের উল্লেখ পাওয়া যায় । সপ্তদশ শতাব্দী তে শেষ ভাগে সঙ্গম রায়ের উত্তরাধিকারী কৃষ্ণ রাম রায় বাদশাহ
আওরঙ্গজেব এর কাছ থেকে ফরমান পান । এই ফরমান অনুযায়ী তিনি বর্ধমানের জমিদারি ও চৌধুরী পদ পান । পরবর্তী কালে তিনি সুবা বাংলার অন্যতম জমিদার হ্যে ওঠেন ।
রায় পরিবারের উত্তর সুরি চিত্র সেন রায় মুঘল সম্রাটের কাছ থেকে রাজা উপাধি পান। চিত্রসেনের ভ্রাতৃ পুত্র এর পর রাজা উপাধি পান । তার আমলে বর্ধমানে বিভিন্ন স্থানে পুকুর আর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ।
১৭৫৫ সালে তিলক চাঁদ তার জমিদারিতে ইংরেজ দের ব্যবসা করার অনুমতি নাকচ করে দিলে নবাব আলিবর্দি র হস্তক্ষেপে এই বিবাদের মীমাংসা হয় । কিন্তু ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের পর নবাব মীরজাফর বর্ধমান জেলার রাজস্ব ইংরেজদের কাছে বন্ধক রাখে ।১৭৬০ সালে বর্ধমান মেদনিপুর চট্টগ্রাম সহ ইস্ট ইন্দিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দেয় । সেই সময় বর্ধমান বাঁকুড়া হুগলী ও বীরভূম জেলার ১/৩ নিয়ে যে অঞ্চল গড়ে ওঠে তাকে চাকলা বর্ধমান বলা হত । ১৮৮৫ সালে বর্ধমান জেলার বর্তমান আকার পায় ।
১৯৫৩ সালে পশ্চিম বঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ আইন অনুসারে বর্ধমান রাজের বেশিভাগ সরকারের হাতে চলে যায় । রাজ পরিবারের রাজ প্রসাদ মহতাব ম ঞ্জিল এখানেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ।
অন্য মতে বর্ধমান অর্থাৎ বৃদ্ধি । উত্তর গাঙ্গেয় অঞ্চল থেকে আরজ প্রভাব ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলের প্রাচুর্য বাড়তে থাকায় এর নাম বর্ধমান ।
বর্ধমানের মল্ল সারুল থেকে পাওয়া খৃস্টীয় ষষ্ঠ শতকের একটি তাম্র লিপি থেকে বর্ধমান ভুক্তি প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় । সেই সময় বঙ্গাধি পতি ছিলেন গোপ চন্দ্র । গোপ চন্দ্রের অধিনে মহাসামান্ত বিজয় সেন সেই সময় বর্ধমান ভুক্তির শাসন কর্তা ছিলেন । বৃহৎ সং হিতা , মা্কণ্ডেয় পুরানে বর্ধমান জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায় ।
পাল যুগের শেষ দিকে তৃতীয় বিগ্রহ পালের রাজত্ব কালে বর্ধমান জেলার গোপ ভুম পরগনায় ইছাই ঘোষ নামে এক সামন্ত রাজা , বঙ্গাধি পতি গৌড় রাজ কে অগ্রাহ্য করে এক শক্তিশালি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন । কাঁক সা অঞ্চলে শ্যামারুপা গড় জঙ্গলে ঢেঁকুর তার রাজধানী ছিল । ১৭১১ সালে রচিত ঘনশ্যাম চক্রবর্তী র " ধর্ম মঙ্গল " গ্রন্থে ইছাই ঘোষের কাহিনী পাওয়া যায় ।
আকবরের রাজত্বে মুঘল সাম্রাজ্য কে ১৩ টি সুবা তে ভাগ করা হয় । এর অন্যতম সুবা বাংলা ১৯ টি সরকারে বিভক্ত ছিল । " আইন ই আকবরি " তে সরকার স্রিফাবাদের একটি মহাল বা পরগণা হিসাবে বর্ধমানের উল্লেখ আছে । জাহাঙ্গীরের রাজত্বে জায়গীরদার শের আফগান বিদ্রোহ ঘোষণা করলে বাংলার শাসক কুতুবুদ্দিন তাকে দমন করতে আসেন । যুদ্ধে দুজনে মারা যায় । বর্ধমান শহরে পাশাপাশি এই দুজনের সমাধি আছে ।
১৬২৪ সালে বিদ্রোহী শাহাজাদা খুররম { সম্রাট শাহাজান }বর্ধমান দুর্গ ও শহর দখল করেন । এই সময় তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন । মসজিদের শিলা লিপি তে শাহজানের নামের উল্লেখ পাওয়া যায় । সপ্তদশ শতাব্দী তে শেষ ভাগে সঙ্গম রায়ের উত্তরাধিকারী কৃষ্ণ রাম রায় বাদশাহ
আওরঙ্গজেব এর কাছ থেকে ফরমান পান । এই ফরমান অনুযায়ী তিনি বর্ধমানের জমিদারি ও চৌধুরী পদ পান । পরবর্তী কালে তিনি সুবা বাংলার অন্যতম জমিদার হ্যে ওঠেন ।
রায় পরিবারের উত্তর সুরি চিত্র সেন রায় মুঘল সম্রাটের কাছ থেকে রাজা উপাধি পান। চিত্রসেনের ভ্রাতৃ পুত্র এর পর রাজা উপাধি পান । তার আমলে বর্ধমানে বিভিন্ন স্থানে পুকুর আর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ।
১৭৫৫ সালে তিলক চাঁদ তার জমিদারিতে ইংরেজ দের ব্যবসা করার অনুমতি নাকচ করে দিলে নবাব আলিবর্দি র হস্তক্ষেপে এই বিবাদের মীমাংসা হয় । কিন্তু ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের পর নবাব মীরজাফর বর্ধমান জেলার রাজস্ব ইংরেজদের কাছে বন্ধক রাখে ।১৭৬০ সালে বর্ধমান মেদনিপুর চট্টগ্রাম সহ ইস্ট ইন্দিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দেয় । সেই সময় বর্ধমান বাঁকুড়া হুগলী ও বীরভূম জেলার ১/৩ নিয়ে যে অঞ্চল গড়ে ওঠে তাকে চাকলা বর্ধমান বলা হত । ১৮৮৫ সালে বর্ধমান জেলার বর্তমান আকার পায় ।
১৯৫৩ সালে পশ্চিম বঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ আইন অনুসারে বর্ধমান রাজের বেশিভাগ সরকারের হাতে চলে যায় । রাজ পরিবারের রাজ প্রসাদ মহতাব ম ঞ্জিল এখানেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ।
No comments:
Post a Comment